গল্পঃ চলো পালাই
পর্বঃ চার এবং শেষ
লেখাঃ অধরা জেরিন

পর্ব এক
পর্ব দুই
পর্ব তিন


বাসায় আসার পর থেকে দাদু আমার সাথে একটা ও কথা বলেনি। এমন কি তাঁর ঘর থেকে বের ও হয়নি। সবাই আমাকে বললো তুমি যাও তোমার দাদুর কাছে গিয়ে নিজের ভুলের জন্য মাফ চাও। এতে যদি রাগ কিছু টা হলেও ও কমে। আমি আস্তে আস্তে দাদুর ঘরে গেলাম । দেখলাম দাদু চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে । আমি আস্তে করে দাদু বলে ডাক দিলাম । দাদু একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলো। আমি দাদুর পা ধরে বললাম আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দাও। দাদু এবার ছোট্ট বাচ্চা দের মতো করে কেঁদে উঠে বললো আমি কি তোকে একটু ও ভালবাসি না। কেন এমন করলি । তোর ছেলে টাকে পছন্দ ছিল না আমাকে বলতে পারতিস । তোকে ছাড়া আমার একটা দিন ও ভাল কাটেনি দাদু ভাই। আমি দাদুর কথা শুনে আরো কাঁদতে লাগলাম । বুঝতে পারলাম আমি অনেক বড় একটা অন্যায় করে ফেলেছি। যার মাশুল পরিবারের সবাই কে দিতে হয়েছে ।

ওদিকে আলিফ বাসায় যাওয়ার পর ওর বাবা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে যে তুমি এখন ছোট না যে তোমাকে আমি রাগারাগি করে শাসন করবো । তুমি তোমার ভাল মন্দ সব কিছু বোঝ। এক সপ্তাহ এর ভিতরে তোমাকে বিয়ে করতে হবে । না হলে তোমার মাকে নিয়ে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। আমি কোনও অবাধ্য সন্তান এর সাথে থাকতে চাই না। আমার এক বন্ধুর আত্মীর একটা মেয়ে আছে তার ছবি আমরা দেখেছি। খুব সুন্দর দেখতে আমাদের ইচ্ছে তাকে তুমি বিয়ে করো। মেয়েটার নাম জেরিন । এবার এইস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে । সে তার একটা বান্ধবীর বাড়িতে বেরাতে গেছে খুব শীঘ্রই ফিরলে তোমাদের বিয়ে হবে এইটা আমরা ঠিক করে রেখেছি। আর আমি চাই মেয়ে টা ফিরলে তুমি তাঁর সাথে দেখা করো। এই বলে হনহন করে চলে গেল ।

আলিফ ওর মাকে বললো ,,, মা !! এই সব কি ??? আমাকে তোমরা না জানিয়ে হুট করে বিয়ে ঠিক করলে । ওর মা বললো তুই তো তোর বাবাকে চিনিস ,, বাড়ি থেকে পালিয়ে না গেলে এতো রাগারাগি করতো না। এখন তোর কোনও কথা সে শুনবে না। তুই রাজি হয়ে যা বাবা । আমরা মেয়ে টাকে আগে ও দেখেছি। তোর বাবার ওই বন্ধুর এক অনুষ্ঠানে ওই মেয়ের পরিবারের সবাই এসেছিল । খুব সুন্দর দেখতে । তোর ভাল লাগবে । আলিফ কে কোনও কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওর মা চলে গেল । আলিফ কি করবে এখন তাই ভাবছে ।

রাতে খাবার টেবিলে সবাই খেতে বসলাম । দাদু আজকে খুব খুশি । আমার ও খুব ভাল লাগছে আজকে সবাই কে এতো খুশি দেখে। এমন সময় দাদু বললো অধরা ফিরে এসেছে এখন সেই ছেলের বাবা কে বললে হয় ছেলে কে নিয়ে আসতে । দাদুর কথা টা শুনে হা করে তাকিয়ে আছি। কি বলছে এই সব ? এমন সময় বাবা বললো ঠিক বলেছেন বাবা । এখন আসতে বললে ভাল হবে । আর ছেলের বাবা তো খুব করে ধরেছেন অল্প সময়ের ভিতরে বিয়ে টা যেন দেওয়া হয়। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। বাবা কে বললাম কার বিয়ে বাবা ?? ছোট চাচা হেসে দিয়ে বললো কার আবার তোর । এবারের ছেলে টা আমরা সবাই মিলে পছন্দ করেছি। আমাদের কারো কোনও আপত্তি নেই। খুব বড়ো ঘরের ছেলে দেখতে শুনতে ও খুব ভাল । তোর সাথে খুব ভাল মানাবে ।

ছোট চাচার কথা শুনে কেমন যেন মাথা টা ঘুরে গেল । আবার সেই বিয়ে !!!

আমি ঘরে এসে বসে আছি । কি করবো এখন ? আলিফ কে ছাড়া আমি বাঁচবো না। আর এখন সেই ছেলেকে সবাই পছন্দ করেছে। তাঁর মানে যেভাবেই হোক তাকে আমার বিয়ে করতে হবে । আমার এখন আলিফ কে সব কিছু জানাতেই হবে ।

এমন সময় কারো পায়ের আওয়াজ শুনে তাকালাম দেখতে পেলাম মা দাড়িয়ে আছে । আমার মাথায় হাত দিয়ে বললো কিরে মা ?? তুই এভাবে চলে এলি যে ?? আমি মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিয়ে বললাম মা তোমরা আমাকে এই বাড়ি থেকে বিদায় করতে চাও তাই না ?? মা আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো পাগল মেয়ে একটা । তোকে আমরা সবাই খুব ভালবাসি। তুই তো জানিস তোর দাদুর হাইপ্রেসার । কখন কি হয়ে যায় তার ঠিক নেই। তাঁর ইচ্ছে নাতজামাই দেখার । আর তুই আমাদের বড়ো মেয়ে তাইতো তোকে বিয়ে দিয়ে সেই ইচ্ছে পূর্ণ করতে চায়। মা তুই আর পাগলামি করিস না। এবার রাজি হয়ে যা । না হলে তোর দাদুর কিছু হলে তোর বাবা আর চাচা তোকে কোনও দিন ক্ষমা করবে না।

মায়ের কথা শুনে কি করবো বুঝতে পারছি না। আমার আলিফ কে ফোন করতে হবে। খুলে বলতে হবে সব কিছু।

আমি বার বার আলিফের ফোনে কল করছি কিন্তু ঢুকছে না। কি হলো ওর । ওর ফোন কেন বন্ধ । ওর কোনও বিপদ হলো নাতো ?? কি করবো আমি এখন ?? ওকে সব কিছু জানাতেই হবে । আচ্ছা আমি একবার নীল কে ফোন করি। নীল ফোন রিসিভ করতেই আমি ওকে বললাম নীল আলিফের ফোন বন্ধ পাচ্ছি । তুমি ওর আর কোনও নম্বর জান ?? নীল তারপর আমাকে যা বললো সেইটার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। আমার হাত থাকে কখন যে ফোন টা মাটিতে পড়ে গেল নিজেও জানি না।

সে দিন খুব কেঁদেছিলাম । আলিফ তাহলে কি আমার সাথে ভালবাসার অভিনয় করলো !! আমি তো ওকে খুব ভালবেসে ছিলাম । কেন এমন করলো। নীল আমাকে জানিয়েছে যে খুব তাড়াতাড়ি আলিফের বিয়ে । এবং কথা টা শুনে নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না । ঠিক আছে আলিফ যদি এভাবে আমাকে ছেড়ে ভাল থাকে তাহলে আমি ওর পথে কাঁটা হতে চাইনা। সেদিন রাতে মাকে জানিয়ে দিলাম আমার এই বিয়েতে কোনও আপত্তি নেই। শুনে সবাই খুব খুশি । ওদিকে ছেলের বাবার ইচ্ছে একবারে দেখতে এসে বিয়ের কাজ সেরে ফেলা। ছেলের বিয়েতে কোনও আপত্তি নেই। আর সে নাকি মেয়ে দেখতে ও চায় না।

খুব তাড়াতাড়ি করে বিয়ে টা হয়ে গেল । যদিও আমি এখনও ছেলে দেখি নি। ছেলেও নাকি আমার ছবি না দেখেই বিয়ে তে রাজি হয়েছে । খুব মনে পড়ছিল আলিফ কে। কেমন এমন করলে আমার সাথে । আমি কি এখন পারবো তোমার জায়গায় অন্য কে নিয়ে ভাবতে । আমাকে শশুড় বাড়িতে আনা হলো। আসার আগে মা বাবা সবাই কে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদে ছিলাম । আজ তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি শুধু বিয়েতে রাজি হয়েছি। ভাল থাকবো কিনা জানি না। কিন্তু ভাল থাকার অভিনয় টা তো করতে পারবো।

বাসর ঘরে বসে আছি । মনে মনে ঠিক করলাম বিয়ের প্রথম রাতেই আমার জামাইকে সব কিছু খুলে বলবো। আচ্ছা আমার জামাই কখনও কারো সাথে প্রেম করেছে ? আসলে কথা টা জিজ্ঞাসা করবো। আলিফ বিয়ে করেছে ওর ও কি মনে পড়ছে আমার কথা । না একটু ও না। ও একটা প্রতারক । আমাকে ঠকিয়েছে। আমার সাথে ভালবাসার অভিনয় করেছে ।

এই সব ভাবতে ভাবতে অনেক রাত হয়ে গেল । কিন্তু আমার জামাইয়ের কোনও খোঁজ নেই। আচ্ছা সে ও কি বাবা মায়ের কথা রাখতে গিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে ? তাঁর ও কি আমার মতো ভালবাসার মানুষ ছিল । যাকে মনে করে নতুন বউয়ের কাছে আসতে কষ্ট পাচ্ছে ।
আমি আস্তে আস্তে করে খাট থেকে নামতে যাবো এমন সময় কারো শব্দ কানে এলো। আমি মাথার ঘোমটা টা টেনে নিলাম । আমি বুঝতে পারছিলাম কেউ আমার সামনে এসে দাড়িয়ে পড়েছে । আমাকে হঠাৎ করে বলে বসলো দেখুন আমি আপনাকে পরিস্কার করে প্রথম রাতেই বলতে চাই যে আমার আপনাকে বিয়ে করার কোনও ইচ্ছে ছিল না। শুধু বাবার কথা রাখতে গিয়ে আমার বাধ্য হতে হয়েছি আপনাকে বিয়ে করতে । আমি একজন কে খুব ভালবাসি। এখন যা বলি মন দিয়ে শুনুন। এটা জানার পর ও কি আপনি এখানে থাকবেন নাকি চলে যাবেন ?

আমাকে আলিফ দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু আমি ওকে দেখতে পাচ্ছি । ওর কথা গুলি শুনে নিজেই এতো টা অবাক হয়ে গেছি যে মুখ দিয়ে কোনও কথা বের হচ্ছে না । শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । আলিফ আমার জামাই এটা যেন বিশ্বাস হতে চাইছে না। মনে হচ্ছে স্বপ্নও দেখছি।

আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে আবার বললো এই যে আপনার কথা টা কানে যায় নি। এখন আপনি সরে বসুন আমি ঘুমাবো। আমি এবার ওকে বললাম বাসর ঘরে যদি জামাই ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তো বাসর ঘর টাই মাটি হয়ে যায় । ও আমার কথা শুনে হা করে তাকিয়ে আছে । আমাকে বললো কে তুমি ? আমি বললাম কেন তোমার বিয়ে করা বউ জেরিন । কেন তুমি কি ভেবেছিলে সিনেমার মতো বউকে সরিয়ে প্রেমিকা কে বাসর ঘরে বসানো হবে । আর আমাকে যখন বিয়ে করেছো তখন আমি তোমার বউ। আমার কথাই এখন থেকে শুনতে হবে ।

আলিফ বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে । ও মিলাতে চাইছে কিছু একটা । হয়তো ভাবছে এই কন্ঠস্বর এখানে কেন ?
আমার ও খুব হাসি পাচ্ছিল । কিন্তু মনে মনে ঠিক করলাম এখন ধরা দেব না । আমাকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি আগে দেব তারপর ।
আমি ওকে চুপ করে থাকতে দেখে বললাম কি হলো এখন নিশ্চয়ই বলবে যে আমার কথা গুলি ঠিক তোমার প্রেমিকার মতো শুনতে । ও বললো কই নাতো আমি কি কিছু বলেছি তোমাকে এতো বেশি কেন বোঝ হুম। আর একটা ও কথা বলবে না। সকালে তোমার বাপের বাড়িতে চলে যাবে । আর সবাই কে বলবে আমাকে তোমার পছন্দ হয়নি।
আমি ঘোমটার ভিতর থেকে হেসে দিয়ে বললাম আমি কেন মিথ্যা কথা বলবো ?? তোমাকে আমার ভিষন পছন্দ হয়েছে । এমন একটা ছেলে আমি চাইছিলাম যার প্রেমিকা থাকবে কিন্তু বিয়ে হবে অন্য একজনের সাথে । এই যেমন ধরো সিনেমায় দেখা যায় । আর আমার জামাই সেই প্রেমিকার কথা মনে করে মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে একটার পর একটা সিগারেট শেষ করবে।

আমার কথা শুনে আলিফ বললো কি পাগলের পাল্লায় পড়লাম । এখন আমি ঘুমাবো তুমি আর যদি একটা ও কথা বলো তাহলে তোমাকে অন্য ঘরে রেখে আসবো। এবার আমি ঘোমটা টা সরিয়ে বললাম কি বলবে তুমি আমাকে অন্য ঘরে রেখে আসবে ? আলিফ আমাকে দেখে এতো টাই চমকে গেছে যে হা করে তাকিয়ে আছে । আমি ওকে বললাম কি হলো অবাক হয়ে গেছো ? এই ছিল তোমার ভালবাসা ? আমাকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে বাসর ঘরে বসে থাকা । আলিফের চোখে পানি মুখে হাসি নিয়ে বললো আমি কি স্বপ্ন দেখছি তুমি আমার সামনে বসে আছো। আর তুমি অধরা জেরিন । ওহ্ আল্লাহ তোমার শুকরিয়া কি ভাবে জানাবো আমার ভাষা জানা নেই। বিশ্বাস করো অধরা আমি ভাবতে পারছি না এটা কি করে সম্ভব ? আমি হয়তো পাগল হয়ে যাবো ?আর তুমি এতো সময় আমাকে না বলে চুপ করে ছিলে।

আমি হেসে দিয়ে বললাম এটা তোমার শাস্তি । আর এখন থেকেই তোমাকে শাস্তি দেওয়া শুরু হলো। আলিফ অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে বললো শাস্তি শুরু হলো মানে আমি কি করলাম । আমি আলিফ কে বললাম কি করলে মানে প্রেমিকা থাকতে অন্য একটা মেয়ে কে বিয়ে করলে । আর তাকে আবার বললে সকালে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে । আলিফ হেসে দিয়ে আমার হাত টা ধরে বললো আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। আমি এতোটা কষ্টে ছিলাম যে হয়তো খুব শীঘ্রই কোথাও হারিয়ে যেতাম । আমি ওর কথা টা শুনে বললাম তাহলে কেন বিয়ে তে রাজি হলে । ও বললো আমাকে বাধ্য করেছে রাজি হতে । তারপর আবার বললো আচ্ছা তুমি ও তো কম না । তুমি ও বিয়ে করে বাসর ঘরে বসে পড়লে । আমার কথা ভুলে গিয়েছিলে। আমি বললাম তোমার মতো আমাকে ও জোর করেছিল । কিন্তু যখন শুনতে পেলাম তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করছো তখন অনেক কষ্ট পেলাম । বাবা মা কে জানিয়ে দিলাম আমার কোনও আপত্তি নেই এই বিয়েতে । কিন্তু ঠিক করে ছিলাম জামাইকে খুলে বলবো সব। আলিফ এবার হেসে দিয়ে বললো আসলে আমাদের ভালবাসা সত্যি ছিল তাইতো কি ভাবে দুইজন দুজন কে পেয়ে গেলাম ।

আলিফ আর আমি খোলা আকাশের নিচে বসে আছি । বাইরে অনেক বড়ো একটা চাঁদ উঠেছে । ভিষন ভাল লাগছে। আমার হাত আলিফের হাতের ভিতরে । দুজন চাঁদ দেখছি । মনে হচ্ছে এখনও আমরা কোনও স্বপ্ন দেখছি। আলিফ বললো রাত আর বেশি বাকি নেই চলো এখন আমরা নিচে যাই। আমি বললাম না এখানে থাকবো সারা রাত । ও বললো আচ্ছা আমাদের বাসর রাত কি ছাদে বসেই কাটবে নাকি হুম। এই বলেই ও আমাকে কোলে তুলে নিল। আমি আলিফ কে বললাম এই কি করছো আমি পড়ে যাবো তো । আলিফ হেসে দিয়ে বললো ইসসস আমি থাকতে আমার বউ পড়বে কি করে । আমার ভিষন লজ্জা লাগছে । আমি হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললাম ।

তারপর ,,,,
তারপর আর কি ??? এভাবে একটা ভালবাসার গল্প শেষ হলো । যেখানে থাকবে সারাদিনের খুনসুটি । ভালবাসা , অভিমান , আর কিছু মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন । সবাই ভাল থাকুক তাদের ভালবাসার মানুষের সাথে ।

( সমাপ্ত )

,,
,,
( গল্প টা সম্পূর্ণ কাল্পনিক । কারো জীবনের সাথে মিল নেই। যতো টা পেরেছি ভাল ভাবে লিখতে চেষ্টা করেছি। আর সবাই কে অনেক ধন্যবাদ গল্প টার সাথে থাকার জন্য )