You will find here many types of stories,(মোটা মেয়ের প্রেম) Fat Girl Love A Heart Touching Love Story True Love Story Bangla golpo romantic golpo love story valobasar golpo love at first sight school love story love you forever college love story high school love story sad love story short love story romantic love story romantic story cute love story true love story i will love you forever new love story Bangla story silent love valobashar golpo real love story love story quotes Bengali golpo, bangla romantic love story, heart touching love story, 
I hope you like our all types of stories, if you like our collections stay connected with us.

(মোটা মেয়ের প্রেম) Fat Girl Love A Heart Touching Love Story - True Love Story, true romantic stories, short true love stories, impossible but true love stories, a true love story that shocked the world, Bangla golpo, bangla golpo 2020, bangla romantic love story, bangla romantic love story facebook, heart touching love story in bengali language,

লেখাঃ- তৌহিদুর রহমান।


-এই খালি দাড়াও!
ডেকে রিক্সা আসার পর আদর্শ প্রেমিকের মতো বুশরাকে রিক্সায় উঠিয়ে নিজে উঠার জন্য রেডি হলাম।কিন্ত তখন ই ঘটলো বিপত্তি টা।বুশরা রিক্সায় উঠার পর রিক্সায় যে অল্প জায়গা থাকলো সে জায়গায় আমার জায়গা হবে বলে মনে হচ্ছে না।

আমি নিজের অজান্তেই ইতস্তত করতে শুরু করলাম।এই ফাঁকে লক্ষ করলাম বুশরা আমার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে।আমি একবার চোখ বন্ধ করে রিক্সায় উঠে বসলাম।রিক্সায় উঠার পর মনে হতে লাগলো রিক্সায় যদি ইঞ্জিন থাকতো তাহলে এতক্ষণে হয়তো আমি হসপিটালের বেডে চলে যেতাম।কারণ যে অল্প জায়গায় আমি বসেছি সেই জায়গায় অন্য কেউ বসার সাহস করবে বলে আমার সন্দেহ আছে।
.
বুশরার সাথে আমার পরিচয় আজ চারমাস। পড়াশোনা শেষ করে একটা ব্যাংকে চাকরি পেয়েছি।অতো বড় পদে চাকরি পাইনি তবে একটা বিয়ে করে বউয়ের ছোট খাটো খায়েশ পুরো করতে পারবো সেরকম সেলারি আমার।
মামাতো বোন রুমির বিয়েতে গিয়ে অদ্ভুত ভাবে পরিচয় হয় বুশরার সাথে।তারপর নম্বর আদান-প্রদান এবং কথা বলতে বলতে ভালোলাগা তারপর ভালোবাসার জন্ম।

বুশরা দেখতে আহামরি সুন্দর না,তবে আমি তার সৌন্দর্য বর্ণনা করতে পারবো না।তার কাজল কালো চোখ,দীঘল কেশ,মুখের তিল গুলো আমার মনের মধ্যে অদৃশ্য একটা খাঁজ কেটে গিয়েছে।
.
বুশরাকে আমি খুব তাড়াতাড়ি নিজের অনুভূতি জানালেও বুশরা নিজের অনুভূতি জানাতে বার বার পিছুপা হচ্ছিলো।
তবে আমি জানতাম তার শয়নেস্বপনে আমার ই বসবাস।

"আমি তো শুনেছি মোটা মেয়েরা ঠোঁট কাটা স্বভাবের হয়,মনের কথা হুট করেই খুলে বলে!তুমি দেখছি মোটা মেয়েদের ইজ্জৎ মারলে"

সেদিন খানিক বিরক্তি নিয়েই মুখ ফসকে এই কথাটা বেরিয়ে গিয়েছিলো। কিন্ত জিহবায় কামড় দিয়ে ভুল উপলব্ধি করার আগেই বুঝতে পেরেছিলাম কথাটা পজিটিভলি লেগেছে বুশরার কাছে।

কথাটা শুনেই বুশরা বার বার করে বলে যাচ্ছিলো,'ভালোবাসি,ভালোবাসি,ভালোবাসি'
.
সেদিনের পর থেকে আমাদের প্রতিরাতে কথা হতো!রোজ নিয়ম করে দুজন দুজনের খবর নিতাম।

তবে বুশরা মাঝেমধ্যেই মন খারাপ করতো নিজের শারীরিক বৃদ্ধি নিয়ে।কিন্ত সত্যি বলতে গেলে আমার এই বিষয়ে কোনো নজর ই পড়ে নি।আমি তার আত্নাকে ভালোবেসেছি তার শরীরকে নয়।মানুষের সৌন্দর্যের কোনো ভরসা নেই,সেই সৌন্দর্য নিয়ে অহংকার করতে নেই,চোখের পলকেই সেটি ছারখার হয়ে যেতে পারে।

এভাবে দেখতে দেখতে আমাদের চারমাস কেটে যায়।আজ আমাদের দ্বিতীয় দেখা।হ্যাঁ, সেদিন বিয়েতে আমাদের পরিচয় এর পর আমাদের আর দেখা হয়নি, কিন্ত মাঝেমধ্যে প্রযুক্তির কল্যাণে সামনাসামনি কথা হতো।
.
পার্কের কোণার বটগাছটায় বসতে আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো।নিজের ইচ্ছেটাকে দাবিয়ে রেখে বুশরাকে জিজ্ঞেস করলাম,
"কোথায় বসবে?"

বুশরা একবার আশেপাশে তাকিয়ে বললো,
"পুকুর পাড়ে চলো,
দেখো পাড়ের কাছে কয়েকটা শাপলা ও আছে"

মেয়েদের সাথে ঘুরতে গেলে বাদাম কেনা মাস্ট,আমি বলবো বাদাম হলো প্রেমের বন্ধন।একটা বাদামে দু'টো ভাগ থাকে এক ভাগ হলো ছেলে,আর অন্য ভাগ হলো মেয়ে।যুবক যুবতী যদি বাদাম ভাগ করে খায় তাহলে তাদের মধ্যে প্রেম হয়ে যায়।আমি ও তাই কুড়ি টাকার বাদাম কিনে বুশরার হাতে ধরিয়ে দিলাম।

বুশরা আর আমি এখন পানিতে পা ভিজিয়ে আছি।আমাদের মধ্যে রয়েছে অনেক দূরত্ব। দূরত্ব টা আমি নিজে থেকেই রেখেছি।তার সাথে আমার এখন যে সম্পর্ক সেটা অবৈধ, তবে আমার ভালোবাসার মানুষকে আমি কাছ থেকে জানতে চাই বলেই বিয়ের পূর্বেই প্রেমের প্রকাশ।
চাইলেই আমি এখন তার আরেকটু কাছে গিয়ে বসতে পারি,তার হাত নিজের হাতের উপর রেখে শির শিরি দিতে পারি কিন্ত আমি সেটা করবো না।কি প্রয়োজন কিছুদিন পরেই তো সে আমার পুরো জীবনের জন্য হবে!তাহলে কেনো এখনই দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে?

বুশরা আনমনে সাদা রঙা শাপলার দিকে তাকিয়ে আছে।পানিতে হাত ভিজিয়ে হালকা পানির ছিঁটে দিলাম বুশরার উপর।চমকে উঠে ঘাড় ফিরিয়ে তাকালো সে।আমি তার মন খারাপের আভাস টা পেলাম।

"কি বেপার তোমার মন খারাপ কেনো!"

কিছুক্ষণ নিরব থেকে বুশরা বললো,
"তুমি বিয়ের টা ভেঙে দাও,তোমার সাথে আমার মানায় না,এমন মোটা মেয়ে তোমার সাথে মানায় না"

"তুমি নিজেই বলছো এই কথা?
আমি কি কখনো তোমার শারীরিক কোনো বিষয়ে কোনো কিছু মন্তব্য করেছি?"

"না করো নি,কিন্ত তুমি আমার সাথে আগামীর দিন গুলো কাটাতে পারবে না।আর আমি নিজকে বদলাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না"

"কে বলেছে পারবো না।

দেখো তুমি মোটা এটা নিয়ে এতো ভাবার কিছু নেই।যে ভালোবাসার সে তুমি যেরকম আছো সেরকম ই ভালোবাসবে।তোমার নিজেকে বদলানোর প্রয়োজন পড়বে না।আর আমি তুমি যেমন আছো তেমন টাই ভালোবাসি।তোমাকে বদলাতে হবে না"

"কিন্ত তবুও!"

"কোনো কিন্ত নয়।

মোটা হওয়া অনেক বড় একটা ক্রেডিট। এই আমাকেই দেখো আমি এতো হালকা পাতলা যে কেউ আমাকে তুলে ফেলতে পারবে।সেদিন অফিসের এক কলিগ একাই আমাকে তুলে ফেলেছে বাহিরে আড্ডা দেওয়ার সময়।

তুমি মোটা মানে তুমি খাইতে পারো বেশি।তুমি জমিদার। আর আমার মতো বাকিরা খাইতে পারি না উল্টো আমাদের কষ্ট বেশি।

আরেকটা জিনিস মানুষ দেখবে সব কিছু মোটা চায়।মোটা গরু,মোটা মোরগ, মোটা বাসা,মোটা অংকের টাকা।

কি বুঝলে?"

বুশরা ফিক করে হেসে দিলো।হাসতে হাসতে সে তার মাথা আমার কাধে রাখলো।

আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম,
"আর তুমি মোটা সেটা আল্লাহ্ র দান।আমার এই নিয়ে কোনো সমস্যা নেই,আমি শুধু এটা জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো আর আমি তোমাকে ভালোবাসি"

গল্পটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করবেন